ডার্ক মেডিউসা
Tk. 146 Original price was: Tk. 146.Tk. 117Current price is: Tk. 117.
গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে ছোট্ট ছেলেটাকে বাঁচাতে গিয়ে জড়িয়ে গেল রানা আর্ট গ্যালারির নৃশংস ঘটনায়। তাতে পেল ইটালির মানুষের অঢেল ভালোবাসা। জানতো না, ঠিক পরের দিনই পরিণত হবে খলনায়কে! প্রশ্ন হলোঃ রানা যদি না করে থাকে তা হলে কে খুন করল ইতালির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে? ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স? কেন দুর্ধর্ষ এসএএস মেজর নোরা গোল্ডফিন্ডকে পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে ওরা? কী চায় ওর কাছে নিষ্ঠুর রাশান মাফিয়া ডন? সার্বক্ষণিক তাড়া ও গুলি খেয়ে আহত, মহাবিরক্ত রানা এখন জানতে চায়, কী কারণে মরিয়া হয়ে ওকে খুন করতে চাইছে এরা! কয়েকটি দেশের সশস্ত্র পুলিশ, দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ মেজর ও ভয়ঙ্কর রাশান মাফিয়ার বিরুদ্ধে একা কতটুকু পারবে ও?
Out of stock
Additional information
Weight | 210 g |
---|---|
Dimensions | 7 × 5 × 0.6 in |
লেখক | |
প্রথম প্রকাশিত | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 397 |
Review
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
ডার্ক মেডিউসা
Tk. 146 Original price was: Tk. 146.Tk. 117Current price is: Tk. 117.
গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে ছোট্ট ছেলেটাকে বাঁচাতে গিয়ে জড়িয়ে গেল রানা আর্ট গ্যালারির নৃশংস ঘটনায়। তাতে পেল ইটালির মানুষের অঢেল ভালোবাসা। জানতো না, ঠিক পরের দিনই পরিণত হবে খলনায়কে! প্রশ্ন হলোঃ রানা যদি না করে থাকে তা হলে কে খুন করল ইতালির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে? ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স? কেন দুর্ধর্ষ এসএএস মেজর নোরা গোল্ডফিন্ডকে পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে ওরা? কী চায় ওর কাছে নিষ্ঠুর রাশান মাফিয়া ডন? সার্বক্ষণিক তাড়া ও গুলি খেয়ে আহত, মহাবিরক্ত রানা এখন জানতে চায়, কী কারণে মরিয়া হয়ে ওকে খুন করতে চাইছে এরা! কয়েকটি দেশের সশস্ত্র পুলিশ, দুর্ধর্ষ ব্রিটিশ মেজর ও ভয়ঙ্কর রাশান মাফিয়ার বিরুদ্ধে একা কতটুকু পারবে ও?
Share the Book
Out of stock
Additional information
Weight | 210 g |
---|---|
Dimensions | 7 × 5 × 0.6 in |
লেখক | |
প্রথম প্রকাশিত | |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 397 |
Book Review
-
Rated 4 out of 5
Mubasshir Hossain –
বইয়ের নাম-ডার্ক মেডিউসা।
সিরিজ-মাসুদ রানা
বই নং-৪৬০
পূর্বকথন-এই বইটা আমি কিনেছিলাম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখ।কিন্তু এই বইটা কে মর্ডান ভেবে আর ধরা হয়নি।আমি তখন সিরিজের ভলিউম ১ গোগ্রাসে হজম করতে ব্যস্ত।
শেষমেশ ক্লাসিকাল স্বাদটা কিছুটা একঘেয়ে লাগছিলো।তাই এইটাকে হাতে নিলাম।কিন্তু হাতে নেওয়ার পর দুই চ্যাপ্টার পড়েই মনে হয়েছিলো বইটাকে আন্ডার এস্টিমেট করা মোটেও উচিত হয়নি।
বইটার কাহিনি,প্লট ডেভেলপমেন্ট,বিল্ডিং থেকে ফিনিশিং খুত ধরতে পারিনি।আসলে প্লাটিনাম যুগের বইয়ের রেপুটেশনের আড়ালে এই বইগুলো নিয়ে আলোচনা খুব একটা করা হয়ে ওঠে না।বইটি আমার যথেষ্ট পছন্দের একটি বই।আজ সেটা নিয়েই কথা বলতে এসেছি।কাহিনি সংক্ষেপ-ইতালির মনোমুগ্ধকর শহর মিলান।সুন্দর,নির্ঝঞ্ঝাট রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে রানা।কিন্তু শান্তির অনুভূতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।হঠাৎ করেই রাস্তায় এক আট বছরের বাচ্চা এসে হাজির হলো।রানার উপস্থিত বুদ্ধি ও ড্রাইভিং দক্ষতার কল্যাণে রোড অ্যাক্সিডেন্ট এড়িয়েছে বাচ্চাটা।
গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চাটাকে তার বাবা মায়ের কাছে পৌছে দেবার দায়িত্ব নিলো ও।বাবা মায়ের সন্ধানে হাজির হলো এক আর্ট গ্যালারিতে।বাচ্চাকে যথাস্থানে রেখে সে ওয়াশরুমে গেল।ওয়াশরুম থেকে বেরুতেই বুঝলো গন্ডগোল হয়েছে।লোকজন নেই আশেপাশে।
গ্যালারিতে কয়েকজন অস্ত্রধারী লোক এসে জিম্মি করেছে সবাইকে।কয়েকঘন্টা পর রানা সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলো।
গোটা ইতালিতে আর্ট গ্যালারি হিরো হিসেবে নাম ছড়িয়ে পড়লো।কিন্তু এরপরই ঘটলো অঘটনাটা।এক রাশিয়ান ডন মরিয়া হয়ে খুজছে ওকে।পাশাপাশি ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস ষড়যন্ত্র করেছে ওর বিরুদ্ধে।তাকে ধরতে পিছু নিয়েছে নোরা গোল্ডফিল্ড।এই অবস্থা থেকে রানা উদ্ধার পায় কি করে সেটা জানতে হলে বইটি পড়ে ফেলবেন।আসছি পাঠপ্রতিক্রিয়ায়।পাঠপ্রতিক্রিয়া-বইয়ের শুরুতেই দেখা যায় যে নব্বই বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বাড়িতে চোটপাট চালাচ্ছেন এক ক্ষমতাশালী লোক।তার সাথে লোকজন ও ছিল।তার পরিচয় সম্বন্ধে প্রথম অধ্যায়ে কিছুই ছিল না তেমন।তবে কাহিনি যত এগোতে লাগলো ততোই পরিষ্কার হতে লাগলো লোকটার আসল পরিচয়।তো পড়ার সলয় মনে হচ্ছিল প্রথম অধ্যায় এত বেখাপ্পা কেনো?কিন্তু না।প্রথম অধ্যায়ের ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে বই পড়া শেষ করলে।তো ওই ক্ষমতাশালী লোকটার পরিচয় জানার জন্য বড়ই উদগ্রীব ছিলাম।এই আগ্রহ তৈরি করতে পারাটা একটা দারুণ ব্যাপার লেখকের জন্য।অন্তত আমার তাই মনে হয়।
তারপর আসি চরিত্রে।এই বইয়ে রানাকে আমি একেবারে অন্যভাবে দেখেছি।এমন ক্ষুরধার রানাকে রিসেন্ট বইগুলোয় কমই পেয়েছি।
আর এখনকার বইগুলো নিয়ে একটা কথা বড্ড বেশি শুনি,আর তা হলো বইগুলোতে নাকি রানা গ্যাজেটের ব্যবহার বেশি করছে।এই বইয়ে তো পেলাম না।এই বইয়ে তো ওকে দেখলাম পুরো নিজের বুদ্ধির জোরে একই সাথে সিক্রেট সার্ভিস আর রাশিয়ান মাফিয়া দুই দলকেই ঘোল খাওয়ালো।এই গ্যাজেট ব্যবহারের কমপ্ল্যানটা কেনো করে মানুষ বুঝি না।
সিরিজে বেশি গ্যাজেট ব্যবহার করে ল্যারি কিং আর রায়হান রশিদ।দুইজনই টেকনোলজিকাল সাইডের এক্সপার্ট।আর কারো যদি রানার প্ল্যানিং নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে বলে দিচ্ছি।রানা এই বইয়ে সিক্রেট সার্ভিসের হাতে ধরা খেলেও রীতিমত তিন দিন নাকানিচুবানি দিয়ে ছেড়েছে।আর নোরা গোল্ডফিল্ডের রাগের মুহূর্তগুলো আমার মত ভক্তদের কাছে দুষ্প্রাপ্য জিনিসের একটা।
রানাকে মিলান থেকে তাড়া শুরু করে মেয়েটা।ইতালির বর্ডার পেরিয়ে সুদূর পর্তুগালে গিয়ে এই তাড়া করা শেষ হয়।
রানা ধরা খেতো না,যদি ওর কাধে স্নাইপার রাইফেলের গুলিটা না লাগত।নোরা গোল্ডফিল্ড ও রানার মত স্যান্ডহার্স্ট একাডেমির স্টুডেন্ট ছিল।তাদের দুইজনের দ্বৈরথটা উপভোগ করেছি ভালোই।আর ডনের চরিত্রটাও ভয়াল ছিল।এই লোকে নৃশংসতায় পিএইচডি করেছে কিনা কে জানে!নাহলে রানার মাথার উপর দিয়ে একটা এপাচি হেলিকপ্টার চালিয়ে দেওয়ার মত কাজ করতে পারতো না।আর হলো সোহানা।বইটাতে সোহানার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকলেও পরোক্ষ উপস্থিতি আছে।আসলে আমার কাছে যা বই আছে সেগুলোয় সোহানার ব্যাপারে তেমন তথ্য ছিলই না।শুধু ইসাটাবুর অভিশাপে পড়েছিলাম,রানার ফেসবুক আইডির মেসেজ নোটিফিকেশন ভরিয়ে রেখেছিলো ও।
কিন্তু এই বইয়ে সোহানার ব্যাপারে রানার চিন্তাধারার একটা ধারণা পেয়েছি।এবং রাহাত খান যে সোহেল,রানা দুইজনকেই টাইটের উপর রাখেন সোহানা রিস্কি এসাইনমেন্টে গেলে,তার প্রমাণ ও পেয়েছি।বলা যায় সোহেলের জন্য আফসোসই লেগেছিল।বেচারাকে উঠতে বসতে বুড়ো মিয়া ঝারি দিয়ে গেছেন আর রানার ব্যাপারে কিছু বলতে গিয়েও মুখ আটকে যাচ্ছে।আর রানা মিলানের এয়ারপোর্টে বসে সোহেলের ফরিয়াদ শুনে হাসাহাসি করছে।এই অংশটা খুবই ভালো লেগেছিলো।পুরো বইয়ের সেরা মুহূর্তের একটা।রানাকে এই অংশে অন্যরকম লেগেছিলো।বন্ধু হিসেবে সে কতটা আন্তরিক আর ঘনিষ্ঠ তাও বুঝতে পেরেছিলাম।তো পুরো অভিজ্ঞতা মিলিয়ে আমি ৪৬১ নাম্বার বইয়ের সন্ধান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।অপশক্তি লাইব্রেরিতে আছে।সেটাও আনব।
রেটিং-না এই বইয়ের রেটিং দিব না।ভালো জিনিসের কদর সবসময়ই করা যায়,এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো মান দরকার হয় না।তো আশা করি অন্যরাও পড়ে দেখবেন।
Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.
Information
Customer Menu
Mubasshir Hossain –
বইয়ের নাম-ডার্ক মেডিউসা।
সিরিজ-মাসুদ রানা
বই নং-৪৬০
পূর্বকথন-এই বইটা আমি কিনেছিলাম ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখ।কিন্তু এই বইটা কে মর্ডান ভেবে আর ধরা হয়নি।আমি তখন সিরিজের ভলিউম ১ গোগ্রাসে হজম করতে ব্যস্ত।
শেষমেশ ক্লাসিকাল স্বাদটা কিছুটা একঘেয়ে লাগছিলো।তাই এইটাকে হাতে নিলাম।কিন্তু হাতে নেওয়ার পর দুই চ্যাপ্টার পড়েই মনে হয়েছিলো বইটাকে আন্ডার এস্টিমেট করা মোটেও উচিত হয়নি।
বইটার কাহিনি,প্লট ডেভেলপমেন্ট,বিল্ডিং থেকে ফিনিশিং খুত ধরতে পারিনি।আসলে প্লাটিনাম যুগের বইয়ের রেপুটেশনের আড়ালে এই বইগুলো নিয়ে আলোচনা খুব একটা করা হয়ে ওঠে না।বইটি আমার যথেষ্ট পছন্দের একটি বই।আজ সেটা নিয়েই কথা বলতে এসেছি।
কাহিনি সংক্ষেপ-ইতালির মনোমুগ্ধকর শহর মিলান।সুন্দর,নির্ঝঞ্ঝাট রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছে রানা।কিন্তু শান্তির অনুভূতি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।হঠাৎ করেই রাস্তায় এক আট বছরের বাচ্চা এসে হাজির হলো।রানার উপস্থিত বুদ্ধি ও ড্রাইভিং দক্ষতার কল্যাণে রোড অ্যাক্সিডেন্ট এড়িয়েছে বাচ্চাটা।
গাড়ি থেকে নেমে বাচ্চাটাকে তার বাবা মায়ের কাছে পৌছে দেবার দায়িত্ব নিলো ও।বাবা মায়ের সন্ধানে হাজির হলো এক আর্ট গ্যালারিতে।বাচ্চাকে যথাস্থানে রেখে সে ওয়াশরুমে গেল।ওয়াশরুম থেকে বেরুতেই বুঝলো গন্ডগোল হয়েছে।লোকজন নেই আশেপাশে।
গ্যালারিতে কয়েকজন অস্ত্রধারী লোক এসে জিম্মি করেছে সবাইকে।কয়েকঘন্টা পর রানা সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলো।
গোটা ইতালিতে আর্ট গ্যালারি হিরো হিসেবে নাম ছড়িয়ে পড়লো।কিন্তু এরপরই ঘটলো অঘটনাটা।এক রাশিয়ান ডন মরিয়া হয়ে খুজছে ওকে।পাশাপাশি ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস ষড়যন্ত্র করেছে ওর বিরুদ্ধে।তাকে ধরতে পিছু নিয়েছে নোরা গোল্ডফিল্ড।এই অবস্থা থেকে রানা উদ্ধার পায় কি করে সেটা জানতে হলে বইটি পড়ে ফেলবেন।আসছি পাঠপ্রতিক্রিয়ায়।
পাঠপ্রতিক্রিয়া-বইয়ের শুরুতেই দেখা যায় যে নব্বই বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বাড়িতে চোটপাট চালাচ্ছেন এক ক্ষমতাশালী লোক।তার সাথে লোকজন ও ছিল।তার পরিচয় সম্বন্ধে প্রথম অধ্যায়ে কিছুই ছিল না তেমন।তবে কাহিনি যত এগোতে লাগলো ততোই পরিষ্কার হতে লাগলো লোকটার আসল পরিচয়।তো পড়ার সলয় মনে হচ্ছিল প্রথম অধ্যায় এত বেখাপ্পা কেনো?কিন্তু না।প্রথম অধ্যায়ের ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে বই পড়া শেষ করলে।তো ওই ক্ষমতাশালী লোকটার পরিচয় জানার জন্য বড়ই উদগ্রীব ছিলাম।এই আগ্রহ তৈরি করতে পারাটা একটা দারুণ ব্যাপার লেখকের জন্য।অন্তত আমার তাই মনে হয়।
তারপর আসি চরিত্রে।এই বইয়ে রানাকে আমি একেবারে অন্যভাবে দেখেছি।এমন ক্ষুরধার রানাকে রিসেন্ট বইগুলোয় কমই পেয়েছি।
আর এখনকার বইগুলো নিয়ে একটা কথা বড্ড বেশি শুনি,আর তা হলো বইগুলোতে নাকি রানা গ্যাজেটের ব্যবহার বেশি করছে।এই বইয়ে তো পেলাম না।এই বইয়ে তো ওকে দেখলাম পুরো নিজের বুদ্ধির জোরে একই সাথে সিক্রেট সার্ভিস আর রাশিয়ান মাফিয়া দুই দলকেই ঘোল খাওয়ালো।এই গ্যাজেট ব্যবহারের কমপ্ল্যানটা কেনো করে মানুষ বুঝি না।
সিরিজে বেশি গ্যাজেট ব্যবহার করে ল্যারি কিং আর রায়হান রশিদ।দুইজনই টেকনোলজিকাল সাইডের এক্সপার্ট।আর কারো যদি রানার প্ল্যানিং নিয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে বলে দিচ্ছি।রানা এই বইয়ে সিক্রেট সার্ভিসের হাতে ধরা খেলেও রীতিমত তিন দিন নাকানিচুবানি দিয়ে ছেড়েছে।আর নোরা গোল্ডফিল্ডের রাগের মুহূর্তগুলো আমার মত ভক্তদের কাছে দুষ্প্রাপ্য জিনিসের একটা।
রানাকে মিলান থেকে তাড়া শুরু করে মেয়েটা।ইতালির বর্ডার পেরিয়ে সুদূর পর্তুগালে গিয়ে এই তাড়া করা শেষ হয়।
রানা ধরা খেতো না,যদি ওর কাধে স্নাইপার রাইফেলের গুলিটা না লাগত।নোরা গোল্ডফিল্ড ও রানার মত স্যান্ডহার্স্ট একাডেমির স্টুডেন্ট ছিল।তাদের দুইজনের দ্বৈরথটা উপভোগ করেছি ভালোই।আর ডনের চরিত্রটাও ভয়াল ছিল।এই লোকে নৃশংসতায় পিএইচডি করেছে কিনা কে জানে!নাহলে রানার মাথার উপর দিয়ে একটা এপাচি হেলিকপ্টার চালিয়ে দেওয়ার মত কাজ করতে পারতো না।
আর হলো সোহানা।বইটাতে সোহানার প্রত্যক্ষ উপস্থিতি না থাকলেও পরোক্ষ উপস্থিতি আছে।আসলে আমার কাছে যা বই আছে সেগুলোয় সোহানার ব্যাপারে তেমন তথ্য ছিলই না।শুধু ইসাটাবুর অভিশাপে পড়েছিলাম,রানার ফেসবুক আইডির মেসেজ নোটিফিকেশন ভরিয়ে রেখেছিলো ও।
কিন্তু এই বইয়ে সোহানার ব্যাপারে রানার চিন্তাধারার একটা ধারণা পেয়েছি।এবং রাহাত খান যে সোহেল,রানা দুইজনকেই টাইটের উপর রাখেন সোহানা রিস্কি এসাইনমেন্টে গেলে,তার প্রমাণ ও পেয়েছি।বলা যায় সোহেলের জন্য আফসোসই লেগেছিল।বেচারাকে উঠতে বসতে বুড়ো মিয়া ঝারি দিয়ে গেছেন আর রানার ব্যাপারে কিছু বলতে গিয়েও মুখ আটকে যাচ্ছে।আর রানা মিলানের এয়ারপোর্টে বসে সোহেলের ফরিয়াদ শুনে হাসাহাসি করছে।এই অংশটা খুবই ভালো লেগেছিলো।পুরো বইয়ের সেরা মুহূর্তের একটা।রানাকে এই অংশে অন্যরকম লেগেছিলো।বন্ধু হিসেবে সে কতটা আন্তরিক আর ঘনিষ্ঠ তাও বুঝতে পেরেছিলাম।
তো পুরো অভিজ্ঞতা মিলিয়ে আমি ৪৬১ নাম্বার বইয়ের সন্ধান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম।অপশক্তি লাইব্রেরিতে আছে।সেটাও আনব।
রেটিং-না এই বইয়ের রেটিং দিব না।ভালো জিনিসের কদর সবসময়ই করা যায়,এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো মান দরকার হয় না।তো আশা করি অন্যরাও পড়ে দেখবেন।